Thursday, February 8, 2024

বারকাহ অর্জনের শ্রেষ্ঠ উপায় আলকুরআনের অনুধাবন

বারকাহ অর্জনের শ্রেষ্ঠ উপায় আলকুরআনের অনুধাবন

বান্দার জন্য বারকাহ খুবই প্রয়োজনীয় এটা ছাড়া তার জীবনের কোনো কিছুতেই তিনি প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। আর শায়খ সুলাইমান আল রুহাইলি বলেন, তিনটি বিষয় ছাড়া বারকাহ অর্জন করা সম্ভব নয়। নিচে তিনটি বিষয় তুলে ধরা হলো;

১। কুরআন নিয়ে গভীর চিন্তা - ভাবনা করা। ২। আল্লাহ তায়া’লার কাছে বিনয়ের সহিত চাওয়া - প্রার্থনা করা। ৩। পাপ ও অবাধ্য কাজ থেকে নিজের নফসকে হেফাজত রাখা।

আর ইবনুল কাইয়্যেম (র:) বলেন,
অন্তরকে জীবিত রাখার চাবি হল- কোরআন নিয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা করা, ভোর হওয়ার আগে (আল্লাহর কাছে) দোয়া করা এবং পাপ পরিত্যাগ করা।
কুরআন নিয়ে গভীর চিন্তা ও মর্ম উপলব্ধির জন্য কুরআনকে শুনতে হবে ও পড়তে হবে অর্থ সহ, যাতে করে সহজেই কুরআন অনুধাবন করতে পারা যায় এবং পৃথিবীর বর্তমান বাস্তবতাকে বিবেচনায় রেখে মানবকল্যানে এই কুরআনের বিধানকে প্রয়োগের কলাকৌশল নির্ধারণে নতুন নতুন সমস্যার সহজ ও সাধ্যপূর্ণ সমাধান বের করা যায়। তাই আসুন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কুরআনে হাকীমের বিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কুরআন বুঝার চেষ্টা করি প্রতিদিন অন্তত আলকুরআনের একটি শব্দ হলেও বুঝার চেষ্টা করি। আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় ও আশার বিষয় হলো আল্লাহ কুরআনকে বুঝার জন্য সহজ করেছেন যাতে করে আমরা কুরআন থেকে সহজে উপদেশ গ্রহন করতে পারি।

Monday, January 1, 2024

ফেসবুকে নিরাপদ থাকার পাঁচটি উপায়

ফেসবুকে নিরাপদ থাকার পাঁচটি উপায়

নিত্যদিন মানুষ ফেসবুকের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন নানাবিদ কারণে। ব্যক্তিগত পরিচিত, ব্যবসায়িক লক্ষ্য, পড়াশুনার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সদস্যের সাথে আন্তযোগাযোগ থেকে নানাবিদ কারণে মানুষ আজ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এদল দুষ্ট লোকের জন্য ফেসবুকে নিরাপদ থাকা এখন সহজ নয়। তাই, অনলাইনে নিজেদের পরিচয়ের গোপনীয়তা রক্ষার মাধ্যমে যেকোনো ক্ষতিকর আক্রমণ ঠেকানোর পাশাপাশি আমরা যেসব তথ্য শেয়ার করি, তা নিরাপদ রাখার জন্য সচেতন থাকার কোনো বিকল্প নেই।

ফেসবুকে নিজের পরিচয় ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাঁচটি অনন্য ফেসবুক সিকিউরিটি টুলের ব্যবহার জানাতে চেষ্টা করবো আজকে । এই টুলস গুলো সবগুলোই ফেসবুকের ডেস্কটপ বা মোবাইল অ্যাপ থেকে সহজে ব্যবহার করা যাবে।

ডেস্কটপ থেকে: প্রোফাইল অ্যাভাটার > সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি > সেটিংস
ফেসবুক অ্যাপ থেকে: মেন্যু > সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি > সেটিংস

(এক) Was that me? (এটা কী আমি ছিলাম?)
‘হোয়্যার ইউ আর লগড্ ইন’ সুবিধাটির মাধ্যমে আপনি কোন অবস্থান ও ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেছেন, তা দেখার সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টের যেকোনো অস্বাভাবিক কার্যক্রম বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে চিহ্নিত করতে পারবেন এবং অপরিচিত কোনো স্থান থেকে লগ ইন হওয়া ডিভাইসকে ‘নট মি’ হিসেবে বেছে নেয়ার মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করে তোলার পদক্ষেপ নিতে পারবেন। যদি আপনি প্রায়শই অনেকে ব্যবহার করে থাকে এমন কম্পিউটার বা অন্য কারো ডিভাইস থেকে ফেসবুকে লগ ইন করে থাকেন, তাহলে এই ফিচারটি নিয়মিত চেক করে দেখা আপনার জন্য খুবই জরুরি।

(দুই) Is that you? (এটা কি আপনি?)
অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সেরা উপায় হল অপরিচিত লগইনের জন্য অ্যালার্ট চালু করা। ‘গেট অ্যালার্টস অ্যাবাউট আনরিকগনাইজড লগইনস’ ফিচারটি চালু করার মাধ্যমে আপনি অপরিচিত কোনো ডিভাইস থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন হওয়ার সাথে সাথে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক মেসেঞ্জার ও নিবন্ধিত ইমেইলে একটি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন, ফলে অস্বাভাবিক বা অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো কার্যক্রম দ্রুত চিহ্নিত করতে পারবেন।

(তিন) Strong Password পাসওয়ার্ডকে হালকাভাবে নেবেন না
অনেকেই মনে রাখার সুবিধার্থে সহজ এবং নিজের বিশেষ কোনো স্মৃতির (জন্মদিন, বার্ষিকী, স্বামী/স্ত্রী/প্রিয়জনের নাম) সাথে মিল রেখে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন, যা সহজেই অনুমান করে নেয়া যায়। তাই, অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করে হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের জন্য কাজটি কঠিন করে দিতে হলে পাসওয়ার্ডে থাকা চাই সংখ্যা, বিভিন্ন ক্যারেক্টার ও শব্দের অনন্য সমন্বয়। অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ও বিভিন্ন ক্যারেক্টার মিলিয়ে দেয়া পাসওয়ার্ড চুরি করা তুলনামূলকভাবে কঠিন। সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি থেকে চেঞ্জ পাসওয়ার্ডে ক্লিক করে আপনি আপনার পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করে নিতে পারেন। অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এটিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচনা করা যায়।

পাসওয়ার্ড তৈরির কিছু টিপস!
আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড আপনার ইমেইল বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো অন্যান্য অ্যাকাউন্টে ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডের চাইতে ভিন্ন হওয়া উচিত। পাসওয়ার্ড যত দীর্ঘ, ততই নিরাপদ। পাসওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনার ই-মেইলের ঠিকানা, ফোন নম্বর বা জন্মদিনের মতো অনুমেয় তথ্যগুলোর ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।

(চার) দুই স্তরের নিরাপত্তা
আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে আরো নিরাপদ করে তুলতে চাইলে এর টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা টুএফএ সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে লগইনের চেষ্টারত ব্যক্তি আপনিই কি না, তা নিশ্চিতে দুটি ধাপ পার করতে হবে। সাধারণত প্রথম ধাপে পাসওয়ার্ড প্রবেশের পর দ্বিতীয় ধাপে ব্যবহারকারীকে একটি লগইন কোডও প্রবেশ করতে হবে, যা ওই ব্যবহারকারীর নিবন্ধিত মোবাইল ফোন নম্বরে টেক্সট মেসেজ বা ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) হিসেবে পাঠাবে ফেসবুক।

ব্যক্তিগত বা অর্থ সংক্রান্ত তথ্যের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, এমন ক্ষেত্রে ব্যাংক বা অন্যান্য অনলাইন সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়শই এ ধরনের দুই স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে। নিরাপদ উপায়ে লগইনের পর আপনি প্রয়োজনে অথোরাইজড লগইনস সুবিধার মাধ্যমে যে সকল ডিভাইস নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন, সেগুলোকে আলাদাভাবে নির্বাচিত করে রাখতে পারেন; সেক্ষেত্রে, পরবর্তীতে এই ডিভাইসগুলোতে আর কোড দিতে হবে না। এছাড়াও, আপনি অ্যাপ পাসওয়ার্ডসও সেট করে নিতে পারেন।

(পাঁচ) ক্ষতিকর সফটওয়্যার থেকে সতর্ক থাকুন
যেকোনো সফটওয়্যার বা এ্যাপ ডাউনলোড করার আগে নিশ্চিত হোন, এটি বিশ্বাসযোগ্য কি না। আপনার ওয়েব ব্রাউজারটি হালনাগাদকৃত রাখুন এবং ব্রাউজারের অ্যাড-অনস বা যেকোনো অ্যাপের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তা মুছে ফেলুন। অপরাধপ্রবণ ডেভেলপাররা কার্টুন ইমেজ এডিটর বা মিউজিক প্লেয়ারের মত বিভিন্ন মজার বা কার্যকর অ্যাপের আদলে ক্ষতিকর অ্যাপ তৈরি করে তা মোবাইল অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

এই অ্যাপগুলো ইনস্টলের পর উল্লেখিত ফিচারের সুবিধা পাওয়ার জন্য ব্যবহারকারীদের ফেসবুকের মাধ্যমে লগইনের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করে, যা আসলে তাদের তথ্যচুরির কৌশল। কেউ তথ্য প্রবেশ করালেই ক্ষতিকর সফটওয়্যারটি তা চুরি করে নেয় এবং পুরোপুরিভাবে ওই অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়, যার মাধ্যমে তারা পরবর্তীতে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে বা ব্যবহারকারীর বন্ধুদের বিভিন্ন মেসেজ দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করে এবং তাকে জীবনকে বিষিয়ে তুলতে কাজ করে।

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে কী করবেন?

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে কী করবেন?
 
আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি যদি হ্যাকড হয়ে থাকে, তাহলে বেশ কিছু উপায়ে সেটা পুনরুদ্ধার করতে পারেন। হ্যাকড হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারে আপনি যে পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করতে পারেন, সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলে প্রথমে আপনাকে পাসওয়ার্ড রিসেট করতে হবে। এর জন্য আপনাকে ফেসবুক ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর 'ফরগট পাসওয়ার্ড?' অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। অ্যাকাউন্টটি চালু করার সময় যে মোবাইল নাম্বার বা ই-মেইল আইডি দেওয়া ছিল সেটা লিখতে হবে। এরপর মেন্যু থেকে 'রিসেট ইয়োর পাসওয়ার্ড' সিলেক্ট করতে হবে। তারপর নতুন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ফেসবুক লগ ইন করা যাবে। কিন্তু হ্যাকার বা হ্যাকাররা যদি ফেসবুক আইডি হ্যাক করার পর অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যে ই-মেইল আইডি বা মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল সেটা পরিবর্তন করে দেয়, তাহলে কী হবে?
 
সেই পরিস্থিতিতে প্রথমেই যা করতে হবে তা হলো, আইডি হ্যাক হওয়ার বিষয়টি ফেসবুককে জানাতে হবে। এটা করার জন্য ww.facebook.com/hacked-এ যেতে হবে এবং 'my account is compromised' অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর সঠিকভাবে ব্যবহারকারীর নাম, ই-মেইল অ্যাড্রেস বা মোবাইল নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্টটি শনাক্ত করতে হবে। এরপর 'সিকিউরিটি চেক' অপশন হিসেবে ক্যাপচা (বিশেষ কোড) লিখলে ফেসবুক আপনাকে পুরানো পাসওয়ার্ডসহ একাধিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে।  
আপনি সঠিকভাবে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয় সাবমিট বাটন সিলেক্ট করলে আপনার অভিযোগটি ফেসবুকের কাছে চলে যাবে। 
হ্যাকাররা প্রায়শই ফেসবুক আইডিতে অ্যাক্সেস নিয়ে সেটা থেকে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের কাছে অশ্লীল বার্তা, ছবি বা ভিডিও পাঠায়। আবার কিছু হ্যাকার পরিচিত লোকজনের কাছ থেকে অর্থ আদায় বা সাহায্য চেয়ে অনুরোধ করে। অনেকে আবার অযাচিত পোস্ট স্প্যাম ছড়িয়ে দিতে পারে। তাই কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই সবাইকে জানিয়ে দিতে ভুলবেন না যে আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাকড হয়েছে।
আরো কিছু ফেসবুক সেটিংস আছে যে, গুলো আপনাকে আপদকালীন সময়ে সাহায্য করতে পারে। চলুন তাও জেনে নেই।
 

আপনি যদি সেটিংসের চুজ ফ্রেন্ডস টু কনট্যাক্ট ইফ ইউ গেট লকড আউট অপশনটি চালু করে রাখেন, তাহলে পরবর্তীতে এই ফাংশন ব্যবহার করে আপনার প্রয়োজনে অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। এই ফাংশনের মাধ্যমে আপনি ৩-৫ জন বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে বাছাই করতে পারবেন, যারা অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে ভবিষ্যতে সহায়তা করবে।

এই ফাংশনটি চালু করতে হলে আপনাকে লগইন পেজের ফরগটেন অ্যাকাউন্ট? অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর ইমেইল বা ফোন নাম্বার দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টটি সার্চ করতে হবে। অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়ার পর আপনি আপনার পূর্বনির্ধারিত বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের নাম প্রবেশের সুযোগ পাবেন। তাদের কাছে এরপর একটি অ্যালার্ট এবং লিঙ্ক পৌঁছে যাবে, যাতে কেবল তারাই প্রবেশ করতে পারবেন। আপনার নির্বাচিত ব্যক্তিরা ওই লিঙ্কে প্রবেশের একটি রিকভারি কোড পাবেন, যা তারা আপনাকে জানাবেন এবং আপনি এর মাধ্যমে আবার নিজ অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন।

লক পরিবর্তন করা
অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার হয়ে যাওয়ার পর সিকিউরিটি অ্যান্ড লগইন সেটিংসে গিয়ে পাসওয়ার্ড পরবর্তন করা অথবা ইউজ টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা টুএফএ চালু করা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্টের ডেটায় অ্যাক্সেস রয়েছে, এমন যেকোনো সন্দেহজনক বা ক্ষতিকর অ্যাপ্লিকেশন মুছে দেয়ার পরামর্শ দেয় ফেসবুক। আপনি সেটিংসের অ্যাপস অ্যান্ড ওয়েবসাইট অপশন থেকে বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে না এমন, বা আপনার পরিচিত নয় এমন অ্যাপস খুঁজে বের করে তা রিমুভ করে দিতে পারেন।

এছাড়া, আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সেটিংসের ‘লগইনস অ্যান্ড সিকিউরিটি’ অপশনের গেট অ্যালার্টস অ্যাবাউট আনরিকগনাইজড লগইনস-এ সাইন আপ করে রাখতে পারেন। অপশনটি নির্বাচিত থাকলে অপরিচিত যেকোনো ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্টে লগইন করা হলে ফেসবুক আপনাকে সাবধান করবে এবং অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ধাপগুলো অনুসরণে সহায়তা করবে।

ফেসবুক সহ যেকোনো নতুন অ্যাপ ও প্ল্যাটফর্মে ক্ষতিসাধনের জন্য হ্যাকাররা প্রতিনিয়ত নিজেদের কৌশল বদলাতে থাকে। তাই সবসময় সতর্ক থাকা, সিকিউরিটি চেক এর মাধ্যমে কার্যকরভাবে অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করা ও হ্যাক হলে কী করতে হবে, তা জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

কম্পিউটারের কি-বোর্ডের F বাটন কী ও এর কাজ

 কম্পিউটারের কি-বোর্ডের F বাটন কী ও এর কাজ

 https://www.ionos.co.uk/digitalguide/fileadmin/DigitalGuide/Screenshots_2020/function-keys-mac-keyboard.jpg

কম্পিউটারের কি-বোর্ডের একেবারে উপরে F1 থেকে F12 পর্যন্ত পরপর কয়েকটি অপশন থাকে এগুলোকে ফাংশন বাটন বলে। কিন্তু অনেকেরই অজানা যে, ওই কিগুলো কম্পিউটারের সামনে আপনাকে স্মার্ট করে তুলবে। দ্রুত কাজ সেরে ফেলার পক্ষে যথেষ্ট।

F1: প্রায় সব প্রোগ্রামেরই হেল্প স্ক্রিন খুলে যায় এটা টিপলে। অর্থাৎ, আপনি কোনো একটি প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানেন না। F1 টিপলেই সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের বিস্তারিত তথ্য ও প্রশ্নোত্তর সমেত একটি স্ক্রিন খুলে যাবে।

F2: কোনো একটি ফাইল বা ফোল্ডারের rename দিতে গেলে, অনেকেই মাউসের সাহায্য নেন। শর্টকাটটা হলো F2। মাউসের প্রয়োজনই পড়বে না।

F3 : কোনো একটি অ্যাপ্লিকেশনের (সেই মুহূর্তে যে অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করছেন) সার্চ ফিচার খুলে যায় এই কি টিপলে।

F4 : উইন্ডো বন্ধ করার জন্য F4 দারুণ শর্টকাট। Alt+F4 টিপলে অ্যাক্টিভ উইন্ডো বন্ধ হয়ে যাবে।

F5 : কোনো একটি পেজ রিফ্রেশ বা রিলোড করতে গেলে খামোখা মাউস নাড়াচড়ায় সময় নষ্ট না করে F5 টিপে দিন।

F6 : এটা টিপলে ইন্টারনেট ব্রাউজারে কারসার সোজা চলে যায় অ্যাডড্রেস বার-এ।

F7 : মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, ডকুমেন্ট বা অন্য কোনো অ্যাপ্লিকেশনে কিছু লেখার পর বানান ও ব্যাকরণগত কোনো ভুল থাকলে ধরিয়ে দেবে F7। এটি স্পেলিং ডায়ালগ ওপেন করার বহুল ব্যবহৃত শর্টকাটও।

F8 : উইন্ডোজের বুট মেন্যুকে ব্যবহার করতে পারবেন এই কি এর মাধ্যমে।

F9 : মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কোনো ডকুমেন্ট রিফ্রেশ করতে চাইলে ও মাইক্রোসফট আউটলুকে ইমেল পাঠানো ও রিসিভের কাজ মিটে যায় এই শর্টকাট কি এর সাহায্যে।

F10 : কোনো একটি অ্যাপ্লিকেশনে মেন্যু বার আনতে গেলে বেশির ভাগ মানুষই রাইট ক্লিক করেন মাউসে। দরকারই পড়ে না যদি আপনি shift+F10 ব্যবহার করেন। দেখাবেন, রাইট ক্লিকের কাজ হয়ে যাবে।

F11 : ইন্টারনেট ব্রাউজারে ফুলস্ক্রিন মোডে ঢুকতে ও বেরোতে কাজ করে F11 কি।

F12 : মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ডকুমেন্ট Save as করতে গেলে মাউসের সাহায্য না নিয়ে এই কি-এ শর্টকাটে সেরে ফেলুন।

অজান্তেই কেউ কল রেকর্ড করছে কি না বুঝবেন যেভাবে

 অজান্তেই কেউ কল রেকর্ড করছে কি না বুঝবেন যেভাবে

প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অনেকেই কল রেকর্ড করে রাখেন। তবে অনেকেই অপর পাশের মানুষের অজান্তেই কল রেকর্ড করেন। এতে যে সব সময় ক্ষতি হয় তা কিন্তু নয়, মাঝেমধ্যে উপকারও হয় বটে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং বা লেনদেনের ব্যাপারে।


এখন কল রেকর্ড করা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিছু কিছু মোবাইলে এখন অটোকল রেকর্ডিং থাকে। আবার বিভিন্ন থার্ট পার্টি অ্যাপের মাধ্যমেও এ কাজটি করা যায়। জরুরি কথা রেকর্ড করার প্রয়োজন পড়ে অনেক সময়। তবে অনুমতি ছাড়াই কল রেকর্ড করে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার ঘটনা অহরহ ঘটছে। সম্মান ক্ষুণ্ন করতে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, সঙ্গে তার পরিবার এবং সমাজও।

আগের মতো গোপনে কল রেকর্ড করার দিন ফুরিয়েছে। অ্যানড্রয়েড ফোনে যথেচ্ছ কল রেকর্ডিংয়ে বিধি-নিষেধ চাপিয়েছে গুগল। নতুন স্মার্ট ফোনে কল রেকর্ডিংয়ে বসালেই একটি যান্ত্রিক স্বরে ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তির কাছে বার্তা যাবে, ‘আপনার এ কলটি রেকর্ড করা হচ্ছে।’ আবার রেকর্ডিং বন্ধ করা হলে সেই বার্তাও দুজনে পাবেন। কনফারেন্স কলের ক্ষেত্রেও তাই হবে।

যেসব ফোনে কল রেকর্ডিংয়ের সুবিধা রয়েছে, এদিকে কল রেকর্ডিংয়ের ঘোষণা শোনা যায় না এখনকার মতো, তাদের কলে ভালো করে কান পাতলেই কিন্তু জানতে পারবেন রেকর্ড চলছে কি না। কারণ ওইসব পুরনো মডেলের ফোন থেকে কল রেকর্ড করা হলে টানা একটি বিপ সাউন্ড শুনতে পাবেন আপনি। আর ফোনের মধ্যে এমন কোনো শব্দ পেলে সচেতন হয়ে যান। কারণ আপনার ওই কলটি রেকর্ড করা হচ্ছে। আপনার বলা কথা, তথ্য এমনকি আপনার গলাও কিন্তু ব্যবহার হতে পারে প্রতারণার কাজে।

আবার অনেক সময় বিপ বিপ সাউন্ড না হয়ে আপনার নিজের কথা গুলোই আপনার কাছে প্রতিধ্বনিত হয়, তখনও বুঝবেন যে, অপর প্রাপ্ত থেকে আপনার কথা রেকর্ড করা হচ্ছে। 

এমন কিছু হলে সাথে সাথে আপনি তাকে বলুন আপনি আমার কথা আমার অনুমতি ছাড়া রেকর্ড করছেন এটা আইনত অপরাধ। এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করবেন। যদি শুনে ভালো আর যদি না শুনে তাবে কল কেটে দিন।

Professional Skills

বারকাহ অর্জনের শ্রেষ্ঠ উপায় আলকুরআনের অনুধাবন

বারকাহ অর্জনের শ্রেষ্ঠ উপায় আলকুরআনের অনুধাবন বান্দার জন্য বারকাহ খুবই প্রয়োজনীয় এটা ছাড়া তার জীবনের কোনো কিছুতেই তিনি প্রকৃত স্বাদ উপভোগ কর...