অনলাইনে আয়কর (ই-রিটার্ণ) জমা দেওয়ার সহজ উপায়: How to submit BD Income Tax return (eReturn) in online
বাংলাদেশে আয়কর (ইনকাম ট্যাক্স) এক ধরনের ভীতি রয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও আইনজীবিদের দীর্ঘ প্রচেষ্ঠায় সেই ভীতি অনেকাংশেই কমেছে। এবং আয়কর প্রদান করার হারও অনেকাংশেই বেড়েছে। বর্তমানে আপনি আয়কর সম্পর্কিত কিছু সাধারণ তথ্য জানা থাকলে আপনি নিজেই সুন্দর করে ঘরে বসে আয় কর রিটার্ণ জমা দিতে পারবেন। সেই বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরতেই আজকের আয়োজন।
সাধারণত আয়কর ফাইলে ৫টি বিষয়ের তথ্য সংযুক্ত করার প্রয়োজন পরে যদি সেগুলো আপনার থাকে। আরো সহজ আকারে বুঝার জন্য বিষয়টিকে প্রশ্নাকারে বলছি।
আয় বিবরণী:
১। আপনার আয়ের উৎস সমূহ কি কি?
** বেতন ছাড়া আপনার আর কোনো আয় ক্ষেত্র আছে কি না, যেমন ধরুন, বাড়ি ভাড়া, ফ্ল্যাট ভাড়া, জায়গা ভাড়া, ব্যবসায়িক আয়, বাণিজ্যিক কৃষি জমি বা মৎস্য চাষসহ, ব্যাংকের সুদ থেকে আয় বা সঞ্চয়পত্র থেকে আয়?
ব্যয় বিবরণী:
১। আপনার মাসিক খাওয়া দাওয়া ও পোশাক খরচ কত?
২। আপনার মাসিক বিদ্যুত বিল কত?
৩। আপনার মাসিক ফোন বিল কত?
৪। আপনার মাসিক গ্যাস বিল কত?
৫। আপনার মাসিক টিভি বিল কত?
৬। আপনার কোনো বাসা ভাড়া আছে কি না? বা আবাসন সংক্রান্ত কোনো খরচ আছে কি না জমির ভাড়া, বা নিমার্ণ খরচ বা কোনো ট্যাক্স?
৭। আপনার নিজের বা ছেলে মেয়েদের বা আপনার পরিবারের আপনার আয়ভূক্ত সদস্যের মাসিক শিক্ষার খরচ কত?
৮। আপনার বছরে কেমন চিকিৎসা খরচ হয়?
৯। আপনার বছরে উৎসব অনুষ্ঠান বাবদ খরচ কত কোরবানীসহ?
১০। আপনার মাসিক পানি বিল কত?
১১। সিটি করপোরেশনে কত টাকা হোল্ডিং সার্ভিস ফি দিতে হয়?
১২। এই সকল খরচের বাহিরে অন্য কোনো খরচ আছে কি? যদি থাকে তবে বলুন?
সম্পদ বিবরণ?
১। আপনার স্বর্ণ কত টুকু? এ বছরে কোনো স্বর্ণ ক্রয় করেছো কি না?
২। জমি জমা কত টুকু? তার বিবরণ?
৩। মোটর সাইকেল আছে কি না?
৪। কোনো ইন্সুরেন্স আছে কি না? থাকলে তার বিবরণ?
৫। কোনো ডিপোজিট বা সঞ্চয়পত্র আছে কি না থাকলে তার বিবরণ?
৬। বাড়িতে কি কি ফার্নিচার, ইলেক্টনিক্সস অন্যান্য আসবাব পত্র আছে তার তালিকা?
৭। এই বছর জুন মাসে ব্যাংক এ ও মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টসহ মোট কত টাকা জুন মাসে জমা ছিল?
৮। এ বছর কোনো কৃষি বা অকৃষি জমি বা ফ্ল্যাট ক্রয় করা হয়েছে কি না?
৯। কোনো সঞ্চয়পত্র কিনেছেন কি না?
ধায়-দেনার বিবরণ
১। আপনি কোনো ব্যাংক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো লোন গ্রহন করেছেন কি না ? হ্যা হলে তার বিবরণ।
২। কারো কাছ থেকে কোনো ব্যক্তিগত লোন করেছেন কি না? যদি থাকে তবে তার বিবরণ?
৩। আপনি কাউকে কোনো লোন দিয়েছেন কি না? থাকলে তার বিবরণ?
বিনিয়োগ বিবরণী:
১। এই অর্থবর্ষে কোনো সঞ্চয়পত্র কিনেছেন কি না? থাকলে তার কাগজপত্রাদি দিন।
২। শেয়ার বাজারে কোনো বিনিয়োগ আছে কি না? থাকলে তার বিবরণ? থাকলে তার কাগজপত্রাদি দিন।
৩। কোনো ইন্সুরেন্স আছে কি না? থাকলে তার বিবরণ? থাকলে তার কাগজপত্রাদি দিন।
৪। কোনো ডিপোজিট আছে কি না থাকলে তার বিবরণ ও কাগজপত্রাদি দিন।
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সুন্দর করে দিবেন গুছিয়ে একটি কাগজে লিখুন এবং এর স্বাপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করুন।
এবার অনলাইনে আয়কর রিটার্ণ জমা দেওয়ার জন্য সরকারী যে ওয়েবসাইট আছে সেখানে যান।
https://etaxnbr.gov.bd/
এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে #eReturn অপশনে ডুকে একটি আইডি করতে হবে [রেজিষ্ট্রশন করতে হবে।
আর আইডি করতে আপনার প্রয়োজন তবে শুধু আপনার ই-টিন নাম্বার ও একটি ফোন নাম্বার [ যে মোবাইল নম্বরটি আপনার জাতীয় আইডি কার্ড দিয়ে রেজিষ্ট্রশন করা এবং আপনার মালিকানায় আছে সেই নম্বরটি দিন] এবং সাইটে থাকা ক্যাপ্চার কোডটি সঠিকভাবে দিতে হবে।
রেজিষ্ট্রশন করা হয় গেলে পুনরায় আপনার ই-টিন ও পাসওয়াড দিয়ে লগইন করুন। লগইন করলে নিচের ছবির মতো একটা সাইট আপনার সামনে আসবে। সেখানে আপনি খুবই সহজে আপনার পূর্বে প্রস্তুতকৃত তথ্য গুলো ইনপুট দিয়ে আপনার আয়কর রিটার্ণ টি তৈরি করে ফেলতে পারেন।
এই হোম পেইজের বাম দিকের Submission Menu থেকে Detail Return অপশনটি নির্বাচন করুন। এর আপনার কাছে রিটার্ণ প্রস্তুত করার বিভিন্ন অপশন আসবে আপনি সেগুলো আপনার প্রস্তুতকৃত তথ্য অনুযায়ী ইনপুট দিবেন।
এখানে আপনি আমরা ব্যক্তি শ্রেণির কর প্রদানের নিয়মটা উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। এবং
১। আপনি ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা হিসেবে Self নির্বাচন করুন।
২। কর গণনা বর্ষ (Assessment year) সংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত থাকবে।
৩। আয়কর বর্ষ (ইনকাম ইয়ার) প্রতি বছরের জুলাই টু জুন হলে একটি আয়কর বর্ষ।
৪। আপনার যদি এই আয়কর বর্ষ কোনো ট্যাক্সেবল ইনকাম থাকে তবে হ্যা নির্বাচন করুন।
৫। আপনার যদি সম্পূর্ণ আয়কর মুক্ত কোনো আয় থাকে তবে হ্যা নির্বাচন করুন অন্যথায় না নির্বাচন করুন।
৬। আপনার আবাসিক অবস্থা নির্বাচন করুন।
৭। আপনার আয় খাত গুলো নির্বাচন করুন। যেমন এই ব্যক্তির আয় হলো বেতন খাত থেকে তাই Income from employment নির্বাচন করা আছে।
এরপর পেইজের নিচের দিকে ডান দিকে Save & Continue বাটনে ক্লিক করে সামনে এগিয়ে যান।
এ অংশে আপনি অতিরিক্ত কিছু তথ্য দিবেন।
১। আপনার আয়ের প্রধান উৎসের অবস্থান? [আপনার কর্মস্থল যেখানে সেটা কোন ধরনের এলাকায় পড়েছে। সেটা নির্বাচন করুন।
২। আপনি যুদ্ধাহত গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা-মাতা/আইনগত অভিভাবক হিসাবে সুবিধা দাবি করবেন কি না সেটা নির্বাচন করুন।
৩। এই অর্থবর্ষে আপনি কোনো বিনিয়োগ করেছেন কি না তবে সেটার জন্য ট্যাক্স রেয়াত দাবি করবেন কিনা? বিনিয়োগ থাকলে হ্যা নির্বাচন করুন।
৪। আপনি কোন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক কিনা সেটা নির্বাচন করুন। যদি হয়ে থাকেন তবে হ্যা অন্যথায় সবসময় না।
IT10B [পরিসম্পদ দায় ও ব্যয় বিবরণী (কর বর্ষের শেষ তারিখে) ] এর প্রয়োজনীয়তা
৫। আপনার মোট সম্পদ 40,00,000 চল্লিশ লাখ টাকা এর উপরে কি না সেটা নির্বাচন করুন।
৬। আপনার নিজের মোটর গাড়ি। থাকলে হ্যা
৭। আপনার নিজের অফশোর সম্পত্তি? এটা অধিকাংশ সময় না। সাধারণ দের জন্য।
৮। আপনার কোন সিটি কর্পোরেশনে বাড়ি সম্পত্তি আছে? যাদের রয়েছে তারা তার পূর্ণ পরিমাপ লিখুন।
৯। IT10B বাধ্যতামূলক নাও হতে পারে। এখনও জমা দিতে চান? এটা হ্যা দিবেন।
এরপর পেইজের নিচের দিকে ডান দিকে Save & Continue বাটনে ক্লিক করে সামনে এগিয়ে যান।
এখানে আপনার কর্মসংস্থান প্রকার নির্বাচন করুন। আপনি কি সরকারী, বেসরকারী বা অন্যান্য ধরনের কাজ করেন তার ধরন নির্বাচন করুন। এটা নির্বাচন করলেই আপনার আয়সংক্রান্ত তথ্য ইনপুট দেওয়ার ফরম পেয়ে যাবেন।
এখানে আপনি আপনার কর্মস্থল থেকে বা প্রতিষ্ঠান থেকে যে, স্যালারী সার্টিফিকেট দিয়েছে। সেটা অনুযায়ী সকল তথ্য যথাযথভাবে ফিলআপ করুন।
এরপর পেইজের নিচের দিকে ডান দিকে Save & Continue বাটনে ক্লিক করে সামনে এগিয়ে যান।
এ অংশে আপনি আপনার ব্যয় (Life Style) তথ্য দিবেন। কিছু ব্যয় খাতের সাব ক্যাটাগরি আছে সেখানে হাইড-সো বাটনে ক্লিক করে তথ্য দিবেন এবং এখানে সেই তথ্যই দিবেন যা আপনার আয় থেকে খরচ হয়েছে। সহজ হিসাবের জন্য প্রথমে মাসিক হিসাব বের করবেন পড়ে বার্ষিক হিসাব মিলাবেন।
এরপর পেইজের নিচের দিকে ডান দিকে Save & Continue বাটনে ক্লিক করে সামনে এগিয়ে যান।
এ অংশে আপনি আপনার Assets (সম্পদ) , Liabilities (Outside Business) (ব্যবসা বহিভূত ধার দেনা), Other Outflow (অন্যান্য ক্ষতি বা ব্যয়), Sources of Fund (করমুক্ত অন্যান্য আয় উৎস ও পরিমান) এর তথ্য দিবেন। এখানে খাতের সাব
ক্যাটাগরি আছে সেখানে হাইড-সো বাটনে ক্লিক করে তথ্য দিবেন এবং এখানে সেই
তথ্যই দিবেন যা আপনার কাছে তার যথাযথ কাগজ বা প্রমাণপত্রাদি আছে। সবকিছু যদি ঠিক মতো ইনপুট দিয়ে থাকেন তবেই আপনার Summary তে Difference জিরো (০) হবে।
এরপর পেইজের নিচের দিকে ডান দিকে Save & Continue বাটনে ক্লিক করে সামনে এগিয়ে যান।
এ অংশে আপনি আপনার আয়ের সম্পূর্ণ হিসাব ও সংক্রিয়ভাবে তৈরি হওয়া কত টাকা আয়কর আসলো এবং কত টাকা রিবেট পেয়েছেন তাও বাদ দিয়ে ফাইনালি কত টাকা আপনাকে জমা দিতে হবে সেটা দেখিয়ে দিবে।
এখন কাজ হলো আপনার আয় যা নির্ধারিত হয়েছে তা জমা দেওয়া বা অগ্রিম যদি আপনার বেতন বা অন্যান্য উপায়ে আপনার কাছ থেকে আগেই পরিশোধিত (AIT) বা কর্তন (TDS) করা হয়ে থাকে তা সমন্বয় করা। যদি বেতন দেওয়ার সময় আপনার প্রতিষ্ঠান আপনার বেতন থেকে নির্ধারিত হারে আয়কর উৎসে কর্তন করে থাকে তবে তা তারা সরকারি খাতে জমা করে আপনারকে স্যালারী সার্টিফিকেট এর সাথে সেই টাকা জমা দেওয়ার চালান গুলো আপনাকে দিয়ে দিবে আপনি চালানের তথ্য দিয়ে তা এখানে সমন্বয় করতে পারবেন। নিচের অংশ গুলো তো ইয়েস নির্বাচন করে ও পরবর্তী নির্দেশিত পন্থায়।
উপরের ছবির হলুদ কালার উভয় অপশনে Yes নির্বাচন করলে তারা আপনাকে নিচের ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে সেখান থেকে আপনার টিডিএস সমন্বয় করবেন।
- উৎসে কর আপডেটের জন্য বামপাশের 'Claim Source Tax' মেনুতে ক্লিক করুন।
- আপনার উৎসে কর যে ক্যাটাগরীতে পড়ে সেটা সিলেক্ট করুন। যেমন, আপনি আইবাস বেতন বিলের বিপরীতে উৎসে কর প্রদান করে থাকলে 'iBAS++ (Salary)' সিলেক্ট করুন।
- এবার 'TDS Claim' ফিল্ডে পরিশোধিত উৎসে করের অংক ইনপুট দিন এবং 'Save' বাটনে ক্লিক করুন। নীচের আউটপুট লাইনে ভেরিফাইড উৎসে করের অংক দেখা যাবে।
- আউটপুট লাইনে উৎসে করের অংকে কোনো পরিবর্তন চাইলে 'edit' আইকনে ক্লিক করুন এবং উপরের 'TDS Claim' ফিল্ডে পরিবর্তিত অংক ইনপুট দিন।
- আউটপুট লাইনে উৎস করের কোনো লাইন সম্পূর্ন বাদ দিতে চাইলে 'delete' আইকনে ক্লিক করুন।
- উৎসে করের ভেরিফিকেশন পর্ব শেষ হলে মেনুর নীচের অংশে থাকা 'Tax Payment Status' সিলেক্ট করে আপনার ভেরিফাইড উৎস করের হিসাব দেখে নিন।
- কাজ শেষ হলে 'Go to eReturn' সিলেক্ট করুন এবং eReturn সিস্টেমে গিয়ে বাকী কাজ সম্পন্ন করুন।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- উৎসে কর কর্তনকারীর সাথে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে উৎস করের অনলাইন ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয় বিধায় ভেরিফিকেশন প্রসেসে সাধারণভাবে কয়েক সেকেন্ড এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েক মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
- অনেক উৎসে কর এবং AIT এর ক্ষেত্রে আদায়কারী সিস্টেমের সাথে সংযুক্তির কাজ চলমান রয়েছে। অনলাইন সংযুক্তি এখনও সম্পন্ন না হওয়ার কারণে আপনার উৎসে পরিশোধিত করের সব তথ্য 'Verified Tax Payment' হিসেবে প্রদর্শিত নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে অনলাইন রিটার্ন দিতে না চাইলে আপনি সিস্টেম থেকে অফলাইন (পেপার) রিটার্ন বানিয়ে নিতে পারেন।
- অফলাইন (পেপার) রিটার্নের জন্য 'Go to eReturn' সিলেক্ট করে ই-রিটার্ন সিস্টেমে গিয়ে 'Tax & Payment' অংশে 'Proceed to offline (paper) return' বাটনে ক্লিক করুন। পেয়ে যাবেন সিস্টেমে তৈরি নির্ভরযোগ্য অফলাইন (পেপার) রিটার্ন।
উপরের নির্দেশনা খুবই সন্দর করে পড়ুন এবংআপনি যদি সরকারি বা ব্যাংকে চাকুরী না করে থাকেন তবে তথা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন এবং আপনার বেতন থেকে আয়কর উৎসে কর্তন করা হয়ে থাকে তবে আপনি বাম পাশে 'Claim Source Tax' মেনুতে Others অপশন সিলেক্ট করুন তবে আপনাকে নিচের সাইটে নিয়ে যাবে।
সেখানে প্রতিটি চালানে অর্থ জমা দেওয়ার তথ্য গুলো পূরণ করে পূর্ণ এক বছরের সকল চালানে জমা দেওয়া টাকা সমন্বয় করতে পারবেন। প্রত্যেকটি চালানের জন্য একবার করে এই ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এবং পূরণ করে Save বাটনে ক্লিক করলে নিচের TDS details এর নিচের টেবিল আকারে জমা হবে। সবগুলো এখানে ইনপুট দেওয়ার পর ছবির হলুদ মার্ক করা অপশনে ক্লিক করুন।
এরপর ক্লিক করলে আপনাকে নিচের ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবে এবং আপনার টোটাল চালানে অর্থের পরিমান দেখাবে যদি আপনার কর্তত পরিমানের সমান হয় তবে আপনি নিচের ছবির Go to eReturn বাটনে ক্লিক করে আবার ই-রিটার্ণ সাইটে ফিরে যান।
যদি আপনার ধার্যকৃত আয়কর সবপূর্বেই কর্তন করা হয়ে থাকে এবং আপনি উপরে দেখানো নিয়মে তা সমন্বয় করে থাকেন তবে Proceed to online return বাটনে ক্লিক করে আপনার রিটার্ণ টি সাবমিট করুন। আর যদি টিডিএস সমন্বয় করার পরও আয়কর অর্থ পরিশোধ বাকী থাকে তবে Pay Now বাটনে ক্লিক করে বিকাশ, নগদ, ডাজ বাংলা ব্যাংক কার্ড ও Master Card Visa Card বা ব্যাংক একাউন্ট এর মাধমে অনলাইনে সহজেই টাকা জমা করে পুনরায় Proceed to online return বাটনে ক্লিক করে আপনার রিটার্ণ টি সাবমিট করুন।
অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার পর নিচের ছবির মতো করে Tax Record - Challan অপশন থেকে হলুদ কালার থেকে Challan copy এর নিচে Click Here থেকে আপনার পরিশোধিত অর্থের চালান ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
অনলাইনে ই-রিটার্ণ জমা দিলে যেহেতু কোনো কাগজপত্রাদি জমা দেওয়া যায় না । তাই বাড়ি তে আপনার আয়কর সংক্রান্ত একটি ফাইল তৈরি করুন এবং সেখানে প্রতি অর্থ বছরের আপনার আয়কর রিটার্নের সাথে সংযুক্ত সকল কাগজ পত্র দলিল পত্রাদি সেখানে জমা করুন।
যে কোনো আইনি জটিলতা তৈরি হলে একজন আয়কর আইনজীবির নিকট যথাযথ সম্মানি দিয়ে আইনি সহযোগিতা গ্রহন করুন।
Thanks for such great blog on Income tax eReturn submission.
ReplyDelete