অনলাইনে নিজেকে নিরাপদ রাখার গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি পরামর্শ : নাজমুল হাসান
বর্তমানে আমরা এমন একটি সময়ে বসবাস করছি যেখানে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র এমনকি আমাদের অর্থনীতি ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। ক্রমবর্ধমান এই প্রযুক্তি আমাদের বিজ্ঞান, অর্থনীতি, যোগাযোগসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকান্ডকে প্রভাবিত করছে। এর ফলে ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা আগের চেয়ে অনেকাংশে বেড়ে গেছে। ইন্টারনেট আমাদের দৈনিন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। আমরা ইন্টারনেট ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করতে পারি না। ইন্টারনেটে নিজেকে কীভাবে নিরাপদ রাখবেন তার কিছু অবশ্যই পালনীয় ইন্টারনেট সিকিউরিটির পরামর্শ তুলে ধরা হলো আজকের আলোচনায়।
১. যে কোনো ওয়েবসাইটে ব্যবহারের পূর্বেই লক্ষ্য করুন ব্রাউজার এর এড্রেসবারে সেই সাইটের ঠিকানার পূর্বে https যুক্ত ওয়েবসাইট কি না।
২. অনলাইনে ফিশিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারণা থাকা।
৩. ব্রাউজারের ইনকগনিটো বা প্রাইভেট মোড ব্যবহার করা।
৪. ইন্টারনেটে নিজের অতি ব্যক্তিগত তথ্যাদি না দেওয়া।
৫. ভিপিএন ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়া।
৬. ইন্টারনেট থেকে কোনো কনটেন্ট ডাউনলোড করার সময় সতর্ক থাকা।
৭. ব্রাউজার হিস্ট্রি ডিলিট করে দেওয়া।
৮. সর্বত্র শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।
৯. আলাদা আলাদা সাইটে আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।
১০. ব্রাউজারে অ্যাকাউন্ট রিলেটেড পাসওয়ার্ড সেভ না করা।
১১. অপরিচিত লিংকে ক্লিক না করা।
১২. ইন্টারনেটে ক্ষতিকর লিংকে ভিজিট না করা।
১৩. সর্বদা সোসাল মিডিয়াসহ সম্ভাব্য নিজের অনলাইন একাউন্টে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন ব্যবহার করা।
১৪. ই-মেইলে লগইন করা অবস্থায় গুগলে সার্চ না করা।
১৫. ব্যবহৃত সকল সফটওয়ার সব সময় আপডেট রাখা।
১৬. ফ্রি পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে কানেক্ট না হওয়া।
১৭. অনলাইনে সবকিছুতেই বিশ্বাস না করা।
১৮. অনলাইনের যে কোনো তথ্য যাচাই না করে শেয়ার না করা।
১৯. ইন্টারনেটে লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা।
২০. সাইবার অপরাধের শিকার হলে নিকটস্থ থানায় জিডি করা।
২১. অপরিচিত কারো সাথে সোসাল মিডিয়ায় সকল প্রকার তথ্য আদান প্রদান থেকে বিরত থাকা।
২২. সবসময় ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যারটি আপডেট রাখা এবং এন্টিভাইরাসা ডাটাবেস আপডেট রাখা।
২৩. সবসময় আপনার ডিভাইসের টাইম ঠিক রাখা।
অনলাইনে নিজেকে নিরাপদ রাখতে না পারলে শুধু আপনিই ক্ষতিগ্রস্থ হবে না হবে আপনার পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র। ইন্টারনেটে আপনি একভাবে কোনো কিছুই না। কারণ আপনি একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের অংশ যদি এই নেটওয়ার্কের একজনকে অনিরাপদ বা ক্ষতিগ্রস্থ করা যায় তবে পুরো নেটওয়ার্কটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করা যাবে। আপনার একটি ভুল বা অনিরাপদ পদক্ষেপ বা অবস্থা একটি সামগ্রিক ধ্বংসের কারণ বা সূত্র। তাই বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে আমরা অনলাইনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিকগুলোর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেই এবং নিশ্চিত করি।
তথ্য সহযোগিতায়: সাইবার সিকিউরিটি (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান), আরিফ মঈনুদ্দীন।
No comments:
Post a Comment