কাপুরুষত্ব ও আমরা...
সফলতার
অন্যতম প্রতিবন্ধক একটা ব্যক্তিত্ব হলো কাপুরুষত্ব। সাধারন অভিধান কাপুরুষ
শব্দে পরিচয় দিয়ে থাকে এভাবে, সাহসহীন ও পুরুষ নামের অযোগ্য ব্যক্তি; ভয়ে
কর্তব্য বা আত্মসম্মান বিসর্জন দেয় এমন অপদার্থ ব্যক্তি। ভীরু, সাহসহীন;
অপদার্থ। ইংরেজিতে কাপুরুষকে বলে Cowardliness । কাইয়র্ডিস একটি বৈশিষ্ট্য
যা ভীতি ও অত্যধিক স্ব-উদ্দীপনাকে অকার্যকর করে দেয় বা যা সঠিক, ভাল এবং
অন্যদেরকে সাহায্য করার অথবা প্রয়োজনের
সময় নিজেদেরকে বলার মতো-এটি সাহসের বিপরীত। একটি লেবেল হিসাবে,
"কাপুরুষতা" একটি চ্যালেঞ্জের মুখে চরিত্রের ব্যর্থতা নির্দেশ করে। অনেক
সামরিক ন্যায় বিচারের আওতায়, যুদ্ধে ভয়াবহতা মৃত্যুর দ্বারা শাস্তিযোগ্য
অপরাধ। বেশিরভাগ সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয়তা বা প্রয়োজনীয়তা
প্রত্যাহারের হিসাবে, এটি প্রায়ই একটি চরিত্রগত ত্রুটি বলে মনে করা হয় যা
বিভিন্নভাবে কলঙ্ক বা শাস্তি হতে পারে।
মূলত এটা এমন না যে নারী বা পুরুষের বা রুগ্ন ভগ্ন নীচুজাতের সাথে জড়িত! এটা থাকতে পারে আমার মধ্যে আপনার মধ্যে বা আপনার পছন্দের মানুষের মধ্যে। এদের নিয়ে আর যাই হোক না কেন সফলতার মঞ্চে আরোহন করা জীবনের সম্ভব না। কারণ তারা সর্বদা সিদ্ধান্তহীনতা ভোগে, নিজ বংশ ও পেশা পরিচয় প্রকাশে হীনমন্যতায় ভোগে। সবচেয়ে বড় ও ভয়ানক দিক হলো যে, কোনোভাবে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেও তারা সেখান থেকে পশ্চাৎপদ অনুস্মরন করে বা সেখান থেকে ফিরে আসে। ইসলাম তাই যুদ্ধের ময়দান থেকে পরায়নকে হারাম করেছে। এটা মুনাফিকের অন্যতম একটি পরিচয়।
মুনাফিকরা মূলতঃ কাপুরুষ। তাই তোমাদের মাঝে যাতে বিদ্বেষ ও ফিতনা-ফাসাদ ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য তারা পরনিন্দার মাধ্যমে যারপর নাই চেষ্টা করে। তাছাড়া তোমাদের মাঝেতো তাদের অনুগত কিছু লোক আছে। তাদের কথাবার্তা, আলাপ-আলোচনা ওদের ভাল লাগে। ওরা তাদের কল্যাণ কামনা করে; অথচ তাদের অবস্থা ওরা ভাল করে জানে না। এতে করে মুমিনদের মাঝে একটা খারাপ অবস্থা এবং মহা বিপর্যয় দেখা দেয়।মুনাফিকের কাছ থেকে মিথ্যা শপথ, ভয়-ভীতি, কাপুরুষতা ও অস্থিরতা প্রকাশ পায়।
আল্লাহ তা‘আলা মুনাফিকদের উক্ত আচরণাদি সম্পর্কে বলেন,
وَيَحْلِفُوْنَ بِاللهِ إِنَّهُمْ لَمِنْكُمْ وَمَا هُم مِّنْكُمْ وَلَـكِنَّهُمْ قَوْمٌ يَفْرَقُوْنَ- لَوْ يَجِدُوْنَ مَلْجَأً أَوْ مَغَارَاتٍ أَوْ مُدَّخَلاً لَّوَلَّوْا إِلَيْهِ وَهُمْ يَجْمَحُوْنَ-
‘এরা আল্লাহর নামে শপ থ করে যে, এরা তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত। অথচ এরা কখনই তোমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বস্ত্ততঃ এরা এমন লোক, যারা ভয় করে থাকে। এরা কোন আশ্রয়স্থল, কোন গুহা অথবা মাটির ভিতর ঢুকে পালাবার মত কোন সুড়ঙ্গ পেলে অবশ্যই তোমাদের ছেড়ে এসব জায়গার দিকে দ্রুত পালিয়ে যাবে’ (তওবা ৯/৫৬-৫৭)।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীকে মুনাফিকদের অস্থিরতা, ভয়-ভীতি, অসহিষ্ণুতা ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বলেন, ওরা জোরাল শপথ করে বলে যে, ওরা তোমাদের লোক, অথচ প্রকৃতপক্ষে ওরা তোমাদের লোক নয়। এই মিথ্যাকে সত্য প্রমাণ করতেই ওরা কসমের আশ্রয় নিয়েছে। ওরা তোমাদের প্রতি এতটাই বিদ্বেষপরায়ণ যে, যদি তোমাদের সংস্পর্শ থেকে বাঁচার জন্য কোন দুর্গ পেত, তবে তাকে আশ্রয়স্থল বানাত অথবা কোন গিরিগুহা পেলে তাতে ঢুকে পড়ত কিংবা মাটিতে কোন সুড়ঙ্গ পেলে তথায় পালিয়ে যেত। তোমাদের থেকে সরে পড়ার কাজটা তখন তারা খুব দ্রুতই করত। কারণ তারা তো মুমিনদের সাথে মিশে মনের ঘৃণা ও অসন্তোষ নিয়ে, ভালবাসার টানে নয়। তারা মন থেকে চায় যে, মুমিনদের সাথে যেন তাদের মিশতে না হয়। কিন্তু বাধ্য হয়ে মিশতে হচ্ছে বলে তারা সব সময় পেরেশানী, দুঃখ-বেদনা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিনাতিপাত করে।
অপরদিকে মুসলমানরা আল্লাহর রহমতে সব সময় উন্নতি, সম্মান ও বিজয়ের মধ্যে রয়েছে। ফলে যখনই কোন ক্ষেত্রে মুসলমানদের খুশির ঘটনা ঘটে তখনই তাদের মনোকষ্ট বেড়ে যায়। ফলে মুসলমানদের সংস্রবে যাতে থাকতে না হয় সেটাই তাদের কাম্য। এজন্যই আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, তারা কোন আশ্রয়স্থল কিংবা কোন গিরিগুহা কিংবা কোন সুড়ঙ্গ পেলে দৌড়ে গিয়ে তাতে আশ্রয় নিত।
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
وَإِذَا رَأَيْتَهُمْ تُعْجِبُكَ أَجْسَامُهُمْ وَإِن يَقُوْلُوْا تَسْمَعْ لِقَوْلِهِمْ كَأَنَّهُمْ خُشُبٌ مُّسَنَّدَةٌ يَحْسَبُوْنَ كُلَّ صَيْحَةٍ عَلَيْهِمْ هُمُ الْعَدُوُّ فَاحْذَرْهُمْ قَاتَلَهُمُ اللهُ أَنَّى يُؤْفَكُوْنَ-
‘তুমি যখন তাদের দেখবে তখন তাদের দেহকান্তি তোমাকে অভিভূত করবে এবং যদি তারা কথা বলে, তবে তুমি তাদের কথা সাগ্রহে শুনবেও। তারা দেয়ালে ঠেকানো কাঠের স্তম্ভ সদৃশ। তারা যেকোন শোরগোলকেই নিজেদের বিরুদ্ধে মনে করে। এরাই হচ্ছে দুশমন। সুতরাং এদের থেকে হুঁশিয়ার থেকো। আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন। এরা বিভ্রান্ত হয়ে কোথায় ফিরে চলছে? (মুনাফিকূন ৬৩/৪)।
ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, এই মুনাফিকরা সবচেয়ে সুন্দর দেহের অধিকারী, সবচেয়ে আকষর্ণীয় ভাষার অধিকারী, কথাবার্তায় অত্যন্ত সুমিষ্ট; কিন্তু তাদের মন সবচেয়ে বেশী নোংরা এবং অন্তর অত্যন্ত দুর্বল। এজন্য তাদের উদাহরণ দেয়ালে ঠেকানো সেই কাঠের মত, যার কোন সারবত্তা নেই। যেগুলো শিকড় থেকে উপড়ে ফেলানো। তারপর সেগুলোকে দেয়ালে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে; যাতে মাটিতে পড়ে থাকায় পথচারীরা পা মাড়িয়ে না যায়।
তাই এমন কাউকে নিয়ে কোনো কর্মে নিযুক্ত হওয়াকে আত্মহত্যার শামিল বলে আখ্যাই দিয়েছেন। শেখ মুজিব তো বলেছেন,
“অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়। ”
আর ডঃ লুৎফর রহমান বলেন,
“ যারা কাপুরুষ তারাই ভাগ্যের দিকে চেয়ে থাকে, পুরুষ চায় নিজের শক্তির দিকে। তোমার বাহু, তোমার মাথা তোমাকে টেনে তুলবে, তোমার কপাল নয়॥ ” এর মানে হচ্ছে কাপুরুষ নিজ শক্তি সামর্থ্যকে কাজে লাগাতে চায় না পারে না পরনির্ভরশীল। এমন যে কেউ এসে তার সব কাজ করে দিব।
এদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কাপুরুষের আরো একটা পরিচয় খুব সহজেই পাওয়া যায় আর তা হলো, ন্যায় দেখেও প্রতিবাদ প্রতিরোধ না করা, নির্লিপ্ত, মুখবুঝে থাকা। যেমন আজ জাতীয় জীবনে যা হয়েছে হচ্ছে! এটা অবশ্য এটা প্রমান করে সাহসিকতা বীরত্ব ও কাপুরুষত্ব এগুলো পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত হওয়া যায় না। আবার উচ্চ শিক্ষিত হলেও কাপুরুষ হতে পারে উদাহরণ আমাদের জাতীয় অধিকাংশ আমলারা।যারা দেশে চলমান বিচারহীনতার প্রতিবাদ বা প্রতিহত করে নি!
এখন আসুন ভাবি তো আমার আপনার মধ্যে কি এমন স্বভাব বা বৈশিষ্ট্য আছে নাকি? যদি থাকে কি করবেন? সেটা আমি আপনিই নির্ধারণ করুন কাপুরুষের মতো শত বছর বাঁচবেন নাকি বীরপুরুষের মতো বীরত্ব নিয়ে প্রয়োজন হলো একদিন বাঁচবেন!
মূলত এটা এমন না যে নারী বা পুরুষের বা রুগ্ন ভগ্ন নীচুজাতের সাথে জড়িত! এটা থাকতে পারে আমার মধ্যে আপনার মধ্যে বা আপনার পছন্দের মানুষের মধ্যে। এদের নিয়ে আর যাই হোক না কেন সফলতার মঞ্চে আরোহন করা জীবনের সম্ভব না। কারণ তারা সর্বদা সিদ্ধান্তহীনতা ভোগে, নিজ বংশ ও পেশা পরিচয় প্রকাশে হীনমন্যতায় ভোগে। সবচেয়ে বড় ও ভয়ানক দিক হলো যে, কোনোভাবে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেও তারা সেখান থেকে পশ্চাৎপদ অনুস্মরন করে বা সেখান থেকে ফিরে আসে। ইসলাম তাই যুদ্ধের ময়দান থেকে পরায়নকে হারাম করেছে। এটা মুনাফিকের অন্যতম একটি পরিচয়।
মুনাফিকরা মূলতঃ কাপুরুষ। তাই তোমাদের মাঝে যাতে বিদ্বেষ ও ফিতনা-ফাসাদ ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য তারা পরনিন্দার মাধ্যমে যারপর নাই চেষ্টা করে। তাছাড়া তোমাদের মাঝেতো তাদের অনুগত কিছু লোক আছে। তাদের কথাবার্তা, আলাপ-আলোচনা ওদের ভাল লাগে। ওরা তাদের কল্যাণ কামনা করে; অথচ তাদের অবস্থা ওরা ভাল করে জানে না। এতে করে মুমিনদের মাঝে একটা খারাপ অবস্থা এবং মহা বিপর্যয় দেখা দেয়।মুনাফিকের কাছ থেকে মিথ্যা শপথ, ভয়-ভীতি, কাপুরুষতা ও অস্থিরতা প্রকাশ পায়।
আল্লাহ তা‘আলা মুনাফিকদের উক্ত আচরণাদি সম্পর্কে বলেন,
وَيَحْلِفُوْنَ بِاللهِ إِنَّهُمْ لَمِنْكُمْ وَمَا هُم مِّنْكُمْ وَلَـكِنَّهُمْ قَوْمٌ يَفْرَقُوْنَ- لَوْ يَجِدُوْنَ مَلْجَأً أَوْ مَغَارَاتٍ أَوْ مُدَّخَلاً لَّوَلَّوْا إِلَيْهِ وَهُمْ يَجْمَحُوْنَ-
‘এরা আল্লাহর নামে শপ থ করে যে, এরা তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত। অথচ এরা কখনই তোমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বস্ত্ততঃ এরা এমন লোক, যারা ভয় করে থাকে। এরা কোন আশ্রয়স্থল, কোন গুহা অথবা মাটির ভিতর ঢুকে পালাবার মত কোন সুড়ঙ্গ পেলে অবশ্যই তোমাদের ছেড়ে এসব জায়গার দিকে দ্রুত পালিয়ে যাবে’ (তওবা ৯/৫৬-৫৭)।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীকে মুনাফিকদের অস্থিরতা, ভয়-ভীতি, অসহিষ্ণুতা ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বলেন, ওরা জোরাল শপথ করে বলে যে, ওরা তোমাদের লোক, অথচ প্রকৃতপক্ষে ওরা তোমাদের লোক নয়। এই মিথ্যাকে সত্য প্রমাণ করতেই ওরা কসমের আশ্রয় নিয়েছে। ওরা তোমাদের প্রতি এতটাই বিদ্বেষপরায়ণ যে, যদি তোমাদের সংস্পর্শ থেকে বাঁচার জন্য কোন দুর্গ পেত, তবে তাকে আশ্রয়স্থল বানাত অথবা কোন গিরিগুহা পেলে তাতে ঢুকে পড়ত কিংবা মাটিতে কোন সুড়ঙ্গ পেলে তথায় পালিয়ে যেত। তোমাদের থেকে সরে পড়ার কাজটা তখন তারা খুব দ্রুতই করত। কারণ তারা তো মুমিনদের সাথে মিশে মনের ঘৃণা ও অসন্তোষ নিয়ে, ভালবাসার টানে নয়। তারা মন থেকে চায় যে, মুমিনদের সাথে যেন তাদের মিশতে না হয়। কিন্তু বাধ্য হয়ে মিশতে হচ্ছে বলে তারা সব সময় পেরেশানী, দুঃখ-বেদনা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিনাতিপাত করে।
অপরদিকে মুসলমানরা আল্লাহর রহমতে সব সময় উন্নতি, সম্মান ও বিজয়ের মধ্যে রয়েছে। ফলে যখনই কোন ক্ষেত্রে মুসলমানদের খুশির ঘটনা ঘটে তখনই তাদের মনোকষ্ট বেড়ে যায়। ফলে মুসলমানদের সংস্রবে যাতে থাকতে না হয় সেটাই তাদের কাম্য। এজন্যই আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, তারা কোন আশ্রয়স্থল কিংবা কোন গিরিগুহা কিংবা কোন সুড়ঙ্গ পেলে দৌড়ে গিয়ে তাতে আশ্রয় নিত।
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
وَإِذَا رَأَيْتَهُمْ تُعْجِبُكَ أَجْسَامُهُمْ وَإِن يَقُوْلُوْا تَسْمَعْ لِقَوْلِهِمْ كَأَنَّهُمْ خُشُبٌ مُّسَنَّدَةٌ يَحْسَبُوْنَ كُلَّ صَيْحَةٍ عَلَيْهِمْ هُمُ الْعَدُوُّ فَاحْذَرْهُمْ قَاتَلَهُمُ اللهُ أَنَّى يُؤْفَكُوْنَ-
‘তুমি যখন তাদের দেখবে তখন তাদের দেহকান্তি তোমাকে অভিভূত করবে এবং যদি তারা কথা বলে, তবে তুমি তাদের কথা সাগ্রহে শুনবেও। তারা দেয়ালে ঠেকানো কাঠের স্তম্ভ সদৃশ। তারা যেকোন শোরগোলকেই নিজেদের বিরুদ্ধে মনে করে। এরাই হচ্ছে দুশমন। সুতরাং এদের থেকে হুঁশিয়ার থেকো। আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন। এরা বিভ্রান্ত হয়ে কোথায় ফিরে চলছে? (মুনাফিকূন ৬৩/৪)।
ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, এই মুনাফিকরা সবচেয়ে সুন্দর দেহের অধিকারী, সবচেয়ে আকষর্ণীয় ভাষার অধিকারী, কথাবার্তায় অত্যন্ত সুমিষ্ট; কিন্তু তাদের মন সবচেয়ে বেশী নোংরা এবং অন্তর অত্যন্ত দুর্বল। এজন্য তাদের উদাহরণ দেয়ালে ঠেকানো সেই কাঠের মত, যার কোন সারবত্তা নেই। যেগুলো শিকড় থেকে উপড়ে ফেলানো। তারপর সেগুলোকে দেয়ালে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে; যাতে মাটিতে পড়ে থাকায় পথচারীরা পা মাড়িয়ে না যায়।
তাই এমন কাউকে নিয়ে কোনো কর্মে নিযুক্ত হওয়াকে আত্মহত্যার শামিল বলে আখ্যাই দিয়েছেন। শেখ মুজিব তো বলেছেন,
“অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়। ”
আর ডঃ লুৎফর রহমান বলেন,
“ যারা কাপুরুষ তারাই ভাগ্যের দিকে চেয়ে থাকে, পুরুষ চায় নিজের শক্তির দিকে। তোমার বাহু, তোমার মাথা তোমাকে টেনে তুলবে, তোমার কপাল নয়॥ ” এর মানে হচ্ছে কাপুরুষ নিজ শক্তি সামর্থ্যকে কাজে লাগাতে চায় না পারে না পরনির্ভরশীল। এমন যে কেউ এসে তার সব কাজ করে দিব।
এদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কাপুরুষের আরো একটা পরিচয় খুব সহজেই পাওয়া যায় আর তা হলো, ন্যায় দেখেও প্রতিবাদ প্রতিরোধ না করা, নির্লিপ্ত, মুখবুঝে থাকা। যেমন আজ জাতীয় জীবনে যা হয়েছে হচ্ছে! এটা অবশ্য এটা প্রমান করে সাহসিকতা বীরত্ব ও কাপুরুষত্ব এগুলো পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত হওয়া যায় না। আবার উচ্চ শিক্ষিত হলেও কাপুরুষ হতে পারে উদাহরণ আমাদের জাতীয় অধিকাংশ আমলারা।যারা দেশে চলমান বিচারহীনতার প্রতিবাদ বা প্রতিহত করে নি!
এখন আসুন ভাবি তো আমার আপনার মধ্যে কি এমন স্বভাব বা বৈশিষ্ট্য আছে নাকি? যদি থাকে কি করবেন? সেটা আমি আপনিই নির্ধারণ করুন কাপুরুষের মতো শত বছর বাঁচবেন নাকি বীরপুরুষের মতো বীরত্ব নিয়ে প্রয়োজন হলো একদিন বাঁচবেন!