বিকল্প আয়ের সেরা ৫ টি মাধ্যম
ঘরে বসে এই কাজগুলি করুন, মাস গেলে পকেটে আসবে মোটা টাকা
এখন খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের পাশাপাশি মানুষের প্রয়োজনের তালিকায়
জায়গা করে নিয়েছে ইন্টারনেট। বিগত কয়েক বছরে অন্তর্জালের মায়াজালে আট থেকে
আশি সকলে এমনভাবে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন যে, কাজে-অকাজে, বিনোদনে কিংবা
দেশ-দুনিয়ার হাল-হকিকত জানতে এই জিনিসটি চাই-ই চাই। আবার আপনি যদি অস্থায়ী
রোজগারের জন্য উপায় খোঁজেন, তাহলে বাড়ি থেকে এক পা না বের হয়ে সেই রাস্তা
পেতে পারেন ইন্টারনেটের সাহায্যেই। আসলে এখন নেটমাধ্যমে প্রচুর কাজের
সুযোগ রয়েছে যা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব; এর জন্য কোনো প্রশিক্ষণ
বা বেশি কসরতেরও প্রয়োজন হবেনা। আর আজ, আমরা এমনই ৫টি ইন্টারনেট ভিত্তিক
কাজের কথা বলব, যা আপনার বেকারত্ব ঘোচাতে বা অতিরিক্ত উপার্জনের প্রয়োজন
মেটাতে সেরা বিকল্প হতে পারে।
এই পাঁচ উপায়ে অনলাইনে টাকা রোজগার করুন
১. ফ্রিল্যান্সিং: নির্দিষ্ট একটি স্কিলের কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করে দিয়ে তার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের নামই ফ্রিল্যান্সিং। এটি অনলাইন উপার্জনের একটি প্রকৃত ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার জন্য চাই কাজের যোগ্যতা ও ঐকাজের যাবতীয় খুটিনাটি সববিষয় জানা। সাম্প্রতিক
বছরগুলিতে এই ধরণের কাজ (যেমন কনটেন্ট রাইটিং, ট্রান্সলেট, ফেসবুক মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সফটওয়্যার তৈরি করা, ওয়েবসাইট তৈরি করা, হিসাববিজ্ঞানের বিভিন্ন কাজ, সাইবার সিকিউরিটি) করানোর
প্রবণতা বেশ বেড়েছে। কারণ প্রচুর ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি আপনার প্রোফাইল তৈরি করে এবং আপনার প্রদত্ত সেবার মূল্যতালিকা তৈরি করে আপলোড করে সেখান থেকে কাজ পেতে পারেন। তবে কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইনে সময় দিতে হবে এবং প্রচুর স্টাডি করতে হবে। এই ধরনের কাজের
জন্য বেশ পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়। এবং উপার্জিত ডলার টাকায় রূপান্তরিত করে ব্যাংকি চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনা যায় সহজেই।
২. Drop Shipping Business: হয়ত
আপনি এই শব্দটি প্রথম শুনছেন। সেক্ষেত্রে বলি, ড্রপ শিপিং এক ধরনের অনলাইন
ব্যবসা, তবে এর জন্য আপনাকে কোনো প্রোডাক্ট তৈরি বা স্টোর ইনভেন্টারি করতে
হবেনা; আপনি কোনো প্লাটফর্ম (যেমন মেশো, শপসি) থেকে কম দামে একটি
প্রোডাক্ট কিনে তা অনলাইনে (হোয়াটস্যাপ বিসনেস, ফেইসবুক মার্কেটপ্লেস
ইত্যাদিতে) বেশি দামে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করতে পারেন। এভাবে আপনি
শুধু থার্ড পার্টি সাপ্লায়ার হিসেবে কাজ করবেন এবং অতিরিক্ত লাভ আপনার
পকেটে আসবে।
৩. Blogging: আপনি যদি লেখালেখি
পছন্দ করেন, তাহলে কোনো ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনি ব্লগ লেখা
শুরু করতে পারেন। আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে উঠলে এবং প্রচুর মানুষ আপনার
লেখা পড়লে, আপনি সেই লেখায় প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে টাকা পাবেন। ব্লগিং ওয়েবসাইট খুলতে পারবেন একদম ফ্রিতে। যেমন গুগলের Blogger.com, Wordpress.com সহ আরো অনেক ফ্রি ব্লগিং ওয়েবসাইট আছে।
৪. Online Survey:
বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে, যারা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পছন্দ-অপছন্দ বা
নেটমাধ্যমের বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য সমীক্ষা (Survey) চালায়। আপনি চাইলে এই ধরনের
সার্ভে বা সমীক্ষায় (Survey) অংশগ্রহণ করে গিফ্ট কার্ড হিসেবে বা নগদ আকারে টাকা
উপার্জন করতেই পারেন। একটি সার্ভেতে মোটামুটি ১০-২০ মিনিট সময় লাগবে।
৫. Content Creating: ইউটিউব
(Youtube) এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় (Facebook, Instagram) ভিডিও তৈরি এখন
প্রচুর মানুষ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছেন। সেক্ষেত্রে আপনিও নিজের সৃজনশীলতাকে
কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কন্টেন্ট বানাতে পারেন। যত বেশি মানুষ এগুলি দেখবে
আপনার আয়ের পরিমাণও তত বেশি হবে। কারণ এই ভিডিও গুলোতে বিভিন্ন কোম্পানির এড (Ads) দেখিয়ে মূল কোম্পানি অর্থ উপার্জন করবে তার একটি অংশ Content Creator এর সাথেও শেয়ার করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে
পার্টনারশিপ করেও আপনি মোটা টাকা আয় করতে পারেন তাদের ব্র্যান্ডকে প্রোমোট (Brand Promote) করে।
No comments:
Post a Comment