অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নির্ভর ফোনকে অ্যান্ড্রয়েড ফোন বলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এটির ব্যবহার অধিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন স্মার্ট ফোনের ধারনাটাই বদলে দিয়েছে যা উপরেরগ্ গ্রাফটিই প্রমাণ করে। তাই মানুষের হাতে এক বা একাধিক অ্যান্ড্রয়েড ফোন রয়েছে যা দিয়ে সে তার দৈনিন্দন সকল কাজই প্রয়াস পায়। এবং এদের বেশিরভাগ ডেস্কটপ কমপিউটারের চেয়ে বেশি প্রসেসর থাকে। কিন্তু ব্যবহারকারীরা সমস্ত শক্তিশালী ডিভাইসগুলি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে৷ তাই স্মার্টফোনের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা খুবই জরুরি। কারণ ব্যবহারকারীর অসচেতনতায় ব্যবহারকারী নিজে যেমন বিপদগ্রস্থ হতে পারে অনুরূপ পুরো সিস্টেমের সকলেরই এই বিপদে পড়তে পারে। যেহেতু অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে আসছে সেহেতু আমাদের সকলের উচিত আমাদের হাতে এন্ড্রয়েড ফোনের সুরক্ষিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কেননা আমাদের ব্যবহারিত এন্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে যে কেউ আমাদের গোপনীয় তথ্য জানতে পারবে এবং আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের অনেক রকম ক্ষতি সাধন করতে পারবে। এমনকি আমাদের এন্ড্রয়েড ফোনটি নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে হ্যাকাররা যে কোন উপায়ে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হ্যাক করে নিতে পারবে। তাই আসুন জেনে নেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তায় কি করনীয়।
১. নিয়মিত আপডেট, অনেকে ডেটা খরচের ভয়ে তাদের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ আপডেট করতে আগ্রহী হন না। কিন্তু এটি ডিভাইস এবং ডেটা গোপনীয়তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। তাই নিয়মিত আপডেট করা ভালো।
২. ফোন লক করে রাখুন; অনেকেই তাদের স্মার্টফোন লক না করেই নিয়মিত ব্যবহার করেন।
এটি একটি উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা হুমকি। একটি
স্মার্টফোন হারিয়ে গেলে,
সমস্ত তথ্য অনিরাপদ হয়ে যায় বা অপ্রয়োজনীয়ভাবে
অন্যদের কাছে প্রকাশ পায়। অতএব,
আপনাকে অবশ্যই একটি পিন,
পাসওয়ার্ড বা আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে আপনার ফোনটি লক করতে
হবে৷ আপনি সহজে অনুমান করা শব্দ ব্যবহার করে একটি পিন বা পাসওয়ার্ড দেওয়া
যাবে না।
৩. শুধুমাত্র অফিসিয়াল সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন। অনেকেই মোবাইল শপে গিয়ে এক সাথে অনেক গুলো সফটওয়্যার মেমেোরী কার্ডে লোড করে আনে এবং সেগুলো ব্যবহার এটা খুবই বিপদ জনক। গুগলে আইডি করে Google Play Store থেকে প্রয়োজনীয় এবং নিরাপদ অ্যাপস গুলো ব্যবহার করুন।
৪. এনক্রিপশন ব্যবহার করুন। End to End মেসেজিং এর জন্য সবসময় এনক্রিপশন অপশনটি ব্যবহার করুন।
৫. পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট। ফোনে ও অ্যাপ লেভেলে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং সঠিকভাবে তা ম্যানেজ করুন।
৬. অব্যবহৃত অ্যাপ আনইনস্টল করুন। যেসকল অ্যাপ কখনোই ব্যবহার করা হয় না সেগুলো ফোন থেকে আনইনস্টল করুন।
৭. অপ্রয়োজনীয় কানেকশন বা অ্যাপের পারমিশন বন্ধ রাখুন।
No comments:
Post a Comment